অ্যালোভেরার আরেকটি নাম হচ্ছে ঘৃত কুমারী শরীরের নানা প্রয়োজনীয় পুষ্টির যোগান
দিতে বিভিন্ন ধরনের অসুখ সারিয়ে তুলতে ঘৃতকুমারী অতুলনীয় বর্তমানে অধিকাংশ
মানুষ তাদের শরীরের ওজন নিয়ে চিন্তিত আর এই শরীরের ওজন কিভাবে কমানো যায়
এই নিয়ে চিন্তিত এক্ষেত্রে আমি সাজেস্ট করব যে অ্যালোভেরা জুস খাওয়ার জন্য
কেননা এই অ্যালোভেরা তে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন মিনারেল এবং এমাইনো এসিড
এবংএনজাইম যা শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে প্রাকৃতিক উপাদান কৃতকুমারী তে রয়েছে
প্রচুর পরিমাণে মিনারেল এবং এনজাইম যা শরীরের ওজন কমাতে ভীষণ কার্যকরী
বিশেষ করে চর্বি গলাতে এই মিনারেল এবং এনজাইম ভীষণভাবে কাজ করে যার কারণে যদি কেউ
ঘৃতকুমারীর জুস খেয়ে থাকে তাহলে সহজেই ওজন কমানো সম্ভব যদি কেউ শরীরের ওজন
কমাবার জন্য এই ঘৃতকুমারী জুস তার খাবার মেনুতে রাখে তাহলে তাকে অবশ্যই এই
ঘৃতকুমারের জুস নিয়মিত খেতে হবে তাহলেই খুব সহজেই ও কোন পার্শ প্রতিক্রিয়া
ছাড়া তার ওজন কমাতে পারবে
ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখতে
ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখতে এই ঘৃতকুমারীর একটি অন্যতম মাধ্যম এই ঘৃতকুমারী
ব্যবহার করে খুব সহজেই ত্বক সুন্দর ও চকচকে রাখা সম্ভব ছোটখাটো কাটা পোড়া
এলার্জি ত্বকের সমস্যা ইত্যাদি ছাড়াতে এলোভেরা খুবই কার্যকরী তাছাড়াও এই
ঘৃতকুমারী ব্যবহারের ফলে ত্বকে কোনরকম বলি রেখা পড়ে না
কেননা সরাসরি পাতা থেকে এই জেলটি নিয়ে ত্বকে ব্যবহার করা হয় যা ত্বকের আদ্রতা
বজায় রাখে অ্যালোভেরা জেল এর সাথে যদি হলুদ দুধের সর এবং মধু একসাথে মিশিয়ে
একটা মিশ্রণ তৈরি করে মুখে লাগানো হয় তাহলে মুখের ব্রণ তাড়াতে বেশ ভালো কাজ করে
তাছাড়াও মুখের বিভিন্ন কালসে দাগ ও রৌদ্রের ফোড়া দাগ এবং বলিরেখা দাগ ইত্যাদি
সারাতে এই অ্যালোভেরা ভীষণভাবে কার্যকারী তাছাড়াও এই ঘৃতকুমারী জেলের সাথে যদি
দই এবং শসার রস দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করা হয় এবং সেই মিশ্রণটি ত্বকে লাগানো
হয় তাহলে ত্বকের অনেক উপকার হয় সরাসরি পাতা থেকে এই জেল টি সংরক্ষণ করে ত্বকে
লাগানোর কারণে ত্বক হয়ে ওঠে সুন্দর ও চকচক এবং এই ঘৃতকুমারী ত্বকের আদ্রতা বজায়
রাখতে বিশেষভাবে কাজ করে
চুল পড়া কমাতে
ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা যাই বলি না কেন এর পরিচিতি দিন দিন বেড়েই চলেছে বহু
গুণে গুণান্বিত এই উদ্ভিদের গুণের শেষ নেই এই ঘৃত কুমারীতে রয়েছে ক্যালসিয়াম
পটাশিয়াম আয়রন সোডিয়াম জিং ফলিক অ্যাসিড এবং অ্যামিনো এসিড ভিটামিন এ বি ছয়
বি ২ ইত্যাদ
চুল পড়া কমাতে বা চুল ঘন করতে চুল কালো করতে এই ঘৃতকুমারী জেল বিশেষভাবে কাজ করে
তাছাড়াও এই ঘৃতকুমারীর জেল চুল কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করা হয় চুলের দৈর্ঘ্য
বাড়াতে এবং চুল সুন্দর রাখতে যে উপকরণগুলোর প্রয়োজন হয় সেগুলোর মধ্যে একটি
হচ্ছে পটিও লাইটি এনজাইম যা এই সুকুমারী জেলের মধ্যে রয়েছে
যার কারণে এই ঘৃতকুমারীর জেল চুলে লাগালে চুলের দৈর্ঘ্য বাড়ে এবং চুল সুন্দর হয়
ছাড়াও ঘৃত কুমারী জেল ব্যবহার করলে মাথার খুশকি দূর হয় এই ঘৃতকুমারীর আরেকটি
বিশেষ উপকারিতা রয়েছে সেটি হচ্ছে ঘৃতকুমারীর জেল ব্যবহারের ফলে মাথা ঠান্ডা থাকে
যদি নিয়মিত ভাবে কেউ এই কৃত কুমারীর তেল মাথায় ব্যবহার করে থাকে তাহলে তার ভুল
হবে সুন্দর নরম ও মোলায়েম
হজম শক্তি বাড়ায়
বহু গুণে গুণান্বিত এই ঘৃতকুমারী বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধান করে থাকে তার
মধ্যে হজম শক্তি বাড়াতে এই ঘৃতকুমারী একটি উল্লেখযোগ্য মাধ্যম হজমের সমস্যা থেকে
তৈরি হয়
শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ ব্যাধি শরীর তাই শরীর সুস্থ রাখার অন্যতম ভিত্তি হচ্ছে
পরিপাকতন্ত্রের হজম প্রক্রিয়াটি ঠিকঠাক রাখা আর এই প্রক্রিয়াটি ঠিকঠাক রাখতে
এলোভেরা জেলের তৈরি মিশ্রন ভীষণভাবে কাজ করে পরিপাকতন্ত্রের ক্ষতিকারক
ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে
এই অ্যালোভেরা কার্যকর অনেক তাছাড়াও ঘৃতকুমারীর রস খেলে কৃমি হওয়ার সম্ভাবনা আর
যদি কিরমি হয়ে থাকে তাহলে খুব সহজে নিরাময় করা যায় এই ঘৃতকুমারীর মাধ্যমে
পরিপাকতন্ত্রকে পরিষ্কার করে হজম শক্তি বাড়াতে অত্যন্ত কার্যকরী এই ঘৃতকুমারী
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে ঘৃতকুমারী বিশেষভাবে কাজ করে বহু যুগ ধরে
ডায়াবেটিসের প্রাকৃতিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত হচ্ছে এই ঘৃতকুমার বলা হয় এই পানিও
নিয়মিত সেবন করলে ইনসুলিন সেনসিটিভি বাড়তে থাকে যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখে
ঘৃতকুমারীর পাতার মাঝে যে স্থিতিস্থাপক অংশটি রয়েছে তার মূল উপাদান হচ্ছে পানি
এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যার শরীরের নানা উপকার করে থাকে
যদি নিয়মিত ভাবে ঘৃতকুমারীর জেল দিয়ে জুস বানিয়ে খাওয়া যায় তাহলে ডায়াবেটিস
নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে ঘৃতকুমারীর জেল তিতা
এক্ষেত্রে এর জুস খাওয়ার জন্য অবশ্যই মধু চিনি এবং বরফ ইত্যাদি দিয়ে খাওয়া
হয়ে থাকে এই জুস অনেকেই খেয়ে থাকে বিভিন্ন ধরনের উপকার পাওয়ার জন্য তার মধ্যে
একটি হচ্ছে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখা এই ঘৃতকুমারীর জুস সেবনের ইনসুলিন বাড়ে
যা ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে
অনেকেই এই ঘৃতকুমারীর জুস সেবন করে থাকে
বিভিন্ন চর্মরোগ ও ক্ষতসারাই
ঘৃতকুমারী একটি ওষুধ গুণসম্পন্ন গাছ এই ঘৃতকুমারী গাছটিতে অনেক
উপকারিতা রয়েছে এই ঘৃতকুমারী গাছটি শরীরের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পুষ্টির
যোগান দিয়ে থাকে এটিতে প্রায় বিশ ধরনের খনিজের উপাদান রয়েছে
যেমন ভিটামিন এ ভিটামিন সি ভিটামিন ই বিএ বি ২ফলিক অ্যাসিড
ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম আয়রন সোডিয়াম পটাশিয়াম কপার ক্রোমিয়াম
সেলেনিয়াম ইত্যাদ ঘৃতকুমারীর জেল টি বেশ ঘন ও আঠালো হয়ে
থাকে এই ত কুমারী গুন সম্পূর্ণ গাছটি বিভিন্ন চর্মরোগ ও ক্ষত
সারাতে বিশেষভাবে কাজ করে তাছাড়া ত্বকে চর্ম রোগের চেয়ে কালো দাগ থাকে তা
দূর করে
এই কৃতকুমারীর বিশেষভাবে কাজ করে যদি কালো দাগ যুক্ত স্থানে ঘৃতকুমারীর
জেল হলুদ নিমপাতা গোলাপ জল দুধ দই ইত্যাদি দিয়ে একটি ্র মিশ্রণ
বানিয়ে ওই স্থানে লাগানো হলে হলে খুব সহজেই সেই দাগ দূর হয় এবং ত্বকে
কোন ক্ষত থাকলে খুব দ্রুত তা পূরণ করতে সক্ষম
আমাদের শরীরের ভিতরে দূষণমুক্ত করে
শরীরের ভিতর ও বাইরের দূষণমুক্ত রাখতে এই ঘৃতকুমারী বেশ গুরুত্বপূর্ণ ঘৃতকুমারের
রস খুবই আ ঠালো এবং ঘন এই ঘৃতকুমারীর রস টি ভীষণ আঠালো হওয়ার কারণে যখন এটি সেবন
করা হয় তখন খাদ্যনালির ভেতর দিয়ে দেহের ভিতরে প্রবেশের সময় থেকে শুরু করে
পুরো পরিপাকতন্ত্রকে পরিষ্কার করতে করতে নিয়ে যাই এই রস শরীরের বিভিন্ন দূষিত
উপাদান শুষে নিয়ে মলাশয় দিয়ে বের হয়ে যায় যার ফলে পরিপাকতন্ত্রে যদি কোন
দূষিত উপাদান থেকে থাকে তাহলে তা নিরাময় করতে এই অ্যালোভেরার জেলটি ভীষণভাবে
কার্যকরী অ্যালোভেরা জেল সাধারণত তিতা যার কারণে জুস তৈরির সময় অবশ্যই তাতে মধু
চিনি বরফ ইত্যাদি
মিশিয়ে জুস করে সেবন করা হয়ে থাকে এই অ্যালোভেরার জুস সেবন করার ফলে যেমন
শরীরের ভেতরের সকল প্রকার দূষিত উপাদান নিরাময় হয় তেমনই শরীরের বাইরের ও দূষণ
মুক্ত হতে সাহায্য করে অতএব বলা যায় এই অ্যালোভেরার জুস সেবনে শরীরের ভিতর ও
বাইরের যেকোনো ধরনের দূষিত উপাদান নিরাময় করতে ভীষণভাবে কাজ করে
শেষ কথা
শরীরের নানা পুষ্টি যোগান দিতে এবং বিভিন্ন ধরনের অসুখ-বিসুখ নিরাময় করতে এই
ঘৃতকুমারী অত্যন্ত কার্যকরী এই ঘৃতকুমারী মাধ্যম শরীরকে ভেতর ও বাইরে
থেকে বিভিন্নভাবে দূষণ মুক্ত রাখতে পারে
উপরের আলোচনা থেকে নিশ্চয়ই জানতে পেরেছেন বহুগুনে গুণান্বিত এই ঘৃতকুমারী
আমাদের মানব দেহে জন্য কতটা উপকারী এবং কিভাবে উপকার করে
থাকে ইতিমধ্যেই আপনি যদি ঘৃতকুমারী গাছটির কি ভাবে ব্যবহার করবেন
এর উপকারিতা কি না জেনে থাকেন তাহলে এখনি এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ
পর্যন্ত পড়ে ফেলুন আপনার সুন্দর একটি ধারণা আসবে এই কুমারীর গাছটির সম্পর্কে
ইনশাল্লাহ
এতক্ষণ এই আর্টিকেলে আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য
ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url