চুলে কন্ডিশনার ব্যবহারের ৫ টি উপকারিতা কি কি জেনে নিন
আপনি কি আপনার চুল কিভাবে সুন্দর রাখবেন সাইনি রাখবেন তা নিয়ে চিন্তিত যদি আপনি চিন্তিত থেকে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনি আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথেই থাকুন
সূচিপত্রঃ চুলে কন্ডিশনার ব্যবহারের পাঁচটি উপকারিতা কি কি জেনে নিন
নিচের যে অংশ পড়তে চান ক্লিক করুন
- চুলের শুষ্কতা কমায়
- চুলের রুক্ষ ভাব ও উড়োভাব দূর করে
- চুলের জট ছাড়ানো সহজ হয়
- চুল আঁচড়ানোর সময় চুল ঝরে পড়ে কম
- চুল সামলানো সহজ হয়
- চুলে কন্ডিশনার ব্যবহারে কিছু নীতিমালাচুলের শুষ্কতা কমায়
চুলের শুষ্কতা কমায়
চুলে শ্যাম্পু ব্যবহার করার কারণ হচ্ছে চুলের ময়লা পরিষ্কার করা এবং চুলের তেল দূর করা কিন্তু শ্যাম্পু ব্যবহার করার ফলে শ্যাম্পুতে যে কিছু কেমিক্যাল থাকে ময়লা দূর করার তার কারণে চুলের নিচের অংশে শুষ্কতা কমে যায় বা সাইন নষ্ট হয়ে যায়
আরো পড়ুনঃ কিভাবে চুল ঘন করবেন
আর এই শুষ্কতা ফিরিয়ে আনতেই আমরা এই কন্ডিশনার ব্যবহার করে থাকি চুলের শুষ্কতা রক্ষায় এই কন্ডিশনার ভীষণভাবে কার্যকর যদি আপনারা চুলে শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার ব্যবহার করে থাকেন তাহলে চুলের শুষ্কতা বজায় থাকে এই কন্ডিশনার আপনার চুলের আদ্রতা ফিরিয়ে আনবে এবং চুলের গভীরে গিয়ে চুলের আদ্রতা রক্ষা করে যার ফলে আপনার চুল
দেখাবে সুন্দর এবং সিল্কি চুলে কন্ডিশনার ব্যবহারের সবচাইতে বড় উপকারিতা হচ্ছে চুলের আদ্রতা রক্ষা করতে পারা এ কন্ডিশনার আপনার চুলের বিভিন্ন ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা করবে এবং বাইরের পরিবেশের ক্ষতিকারক উপাদান থেকে রক্ষা করবে যা আপনার চুলের শুষ্কতাকমাতে সাহায্য করে তবে অবশ্যই আপনাকে নিয়ম মেনে এ কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে
চুলের রুক্ষ ভাব ও উড়ো ভাব দূর করে
সেক্ষেত্রে অবশ্যই আমরা কন্ডিশনার ব্যবহার করতে পারি কেননা কন্ডিশনার চুলের শেষভাগেই ব্যবহার করা হয় যা চুলকে সুন্দর ও শাইনিং রাখতে সাহায্য করে আমরা যখন আমাদের চুলে শ্যাম্পু ব্যবহার করে থাকি তখন আমাদের চুল অনেকটাই ফুলে যায় বা ভাঁজ পড়ে যায়
আর এই ফুলা ভাব দূর করতে কন্ডিশনার ভীষণভাবে কার্যকরী একটি মাধ্যম যখন আমরা
চুলে কন্ডিশনার ব্যবহার করি তখন চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত পুরো চুলে
কন্ডিশনার লাগানোর কারণে পুরো চুলের আদ্রতা রক্ষা করে এবং ফুলে যাওয়া
কমিয়ে ফেলে যাকে আমরা চুলের রুক্ষ ভাব দূর করা বলে থাকি নিয়মিত কন্ডিশনার
ব্যবহারের ফলে আপনার চুল হয়ে উঠবে নরম চকচকে ও রুক্ষ হীনতা
চুলের জট ছাড়ানো সহজ হয়
এমনিতেই চুলের জট ছাড়ানো অনেক ঝামেলার একটি কাজ তার উপরে যদি চুল বড় হয় তাহলে তো কোন কথাই নাই বিশেষ করে চুলের শ্যাম্পু করলে চুলের বেশ জট লাগে যা ছাড়ানো বেশ কষ্টকর হয় এবং ব্যথা অনুভব হয় এক্ষেত্রে যদি কন্ডিশনার ব্যবহার করা হয় তাহলে খুব সহজেই চুলের জট ছাড়ানো সম্ভব
কেননা এই কন্ডিশনারে বিশেষ কিছু উপাদান রয়েছে যা একটি চুলের সাথে আরেকটি চুল লাগা থেকে বিরতি রাখে যার ফলে চুলে সহজে জট লাগেনা চুলে কন্ডিশনার ব্যবহার করার পর অবশ্যই আপনাকে একটি মোটা দাঁত যুক্ত চিরুনি দ্বারা আপনার চুলের জট ছাড়াতে হবে তাহলে সহজেই চুলের জট ছাড়ানো সম্ভব আর এতে করে কোন ব্যথা অনুভব হবে না এর জন্য অবশ্যই আপনাকে চুলের গোড়া থেকে শুরু করে আগা পর্যন্ত খুব ভালোভাবেই কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে
আরো পড়ুনঃ কিভাবে চুল মজবুত করবেন
ব্যবহার করার পর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে এর জন্য অবশ্যই আপনাকে পরিমান মত কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে কন্ডিশনালে পরিমাণ নির্ভর করবে আপনার চুলের উপর আপনার চুল যদি বেশি বড় হয়ে থাকে বা কোঁকড়ানো হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে কন্ডিশনারের পরিমাণটা একটু বেশি হবে এইভাবে কন্ডিশনার ব্যবহার করলে খুব সহজেই চুলের জট ছাড়ানো যাবে
চুল আঁচড়ানোর সময় চুল ঝরে পরে কম
চুল আঁচড়ানো শুরু করলেই গোছা গোছা চুল ঝরে পড়ে এই কারণে অনেকেই চুল আঁচড়াতে ভয় পায় শুকনো চুল আঁচড়ালে এমনিতেই চুল একটু বেশি উঠে এক্ষেত্রে আমার পরামর্শ ভেজা অবস্থাতেই চুল আঁচড়ে নেওয়া ভালো এর জন্য অবশ্যই আপনাকে একটি মোটা দাঁত যুক্ত চিরুনি ব্যবহার করতে হবে
আরো পড়ুনঃ চুল পড়া বন্ধ করুন
চুল আঁচড়ানোর সময় যেন কম চুল ঝরে পড়ে এর জন্য কন্ডিশনার একটি অন্যতম মাধ্যম কন্ডিশনার চুলে ব্যবহার করার পর চুল একটি সাথে আরেকটি কম লাগে যার কারণে চুলে জট কম হয় যার কারণে চুল কম ঝরে পড়ে এর জন্য অবশ্যই আপনাকে সুন্দর ভাবে পরিমাণ মতো কন্ডিশনার চুলের গোড়া থেকে আগ পর্যন্ত ব্যবহার করতে হবে অনেকেই আছে
যারা কন্ডিশনার ব্যবহার করে সঙ্গে সঙ্গে চুল ধুয়ে ফেলে এটি করা যাবে না যদি আপনি সঠিক ও সুন্দর ফলাফল পেতে চান এর জন্য অবশ্যই আপনাকে কন্ডিশন ব্যবহার করার পর দুই মিনিট অপেক্ষা করতে হবে তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে তাহলে একটি সাথে আরেকটি চুল লাগবে না যার কারণে চুল আচড়ানোর সময় ধরে পড়বে কম
চুল সামলানো সহজ হয়
চুলের ময়লা ভাব এবং চুলের তেলাক্ত ভাব দূর করতে শ্যাম্পু ব্যবহার করা হয় এই শ্যাম্পু ব্যবহার করার পর চুল শুষ্ক ও রুক্ষ দেখা যায় এবং চুলের শেষ অংশ অনেকটাই ফুলে যায় চুল ফুলে যাওয়ার কারনে চুল সামলানো অনেকটাই কঠিন হয়ে পড়ে বিশেষ করে যাদের চুল বড়
তাদের জন্য এক্ষেত্রে কন্ডিশনার ব্যবহার করলে খুব সহজেই চুল সামলানো যায় যেহেতু কন্ডিশনার ব্যবহার করার ফলে চুলের শুষ্ক ও রুক্ষভাব থাকে না তাই খুব সহজ হয় চুল সামলানো এবং চুলের ফোলা ভাব কমে যায় কন্ডিশনার আমাদের নরম ও সুন্দর এবং হাইড্রেট চুল পেতে সাহায্য করে চুল শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার ব্যবহার না করলে চুলে একটা খসখসে ভাব থেকেই যায়
সেটা যতই সুন্দর ও শাইনিং চুল হোক না কেন আর যদি চুল খসখসে বা প্রাণহীন থাকে তাহলে চুল দেখতেও ভালো লাগে না আর চুল সামলানো বেশ কঠিন হয়ে পড়ে এর জন্য কন্ডিশনার ব্যবহার করলে চুল খসখসে ভাব থাকে না চুল ফোলা ভাব ও থাকে না যার কারণে চুল শার্ট থাকে হলে চুল সামলালো অনেক সহজ হয়
চুলে কন্ডিশনার ব্যবহারে কিছু নীতিমালা
- চুলের গোড়ায় কন্ডিশনার ব্যবহার করা যাবে না
- চুলের মাঝ থেকে শেষ অংশ পর্যন্ত ব্যবহার করতে হবে
- দুই মিনিট অপেক্ষা করার পর ধুয়ে ফেলতে হবে
- সম্পূর্ণ ভেজা চুলে কন্ডিশনার ব্যবহার করা যাবে না
- চুল হালকা ভেজা অবস্থায় কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে
- চুলে পরিমাণ মতো কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে ইত্যাদি
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url