ঘামাচি থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় কি কি তা জানান
আসসালামু আলাইকুম আর্টিকেলে আপনাকে স্বাগতম আজকের এই আর্টিকেলে আমি একটি
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি আমাদের দেশের আবহাওয়া বেশিরভাগ সময়
গরম থাকে গরমে এলেই দুশ্চিন্তা বাড়ে অনেকের কেননা গরম এলে শরীরের বিভিন্ন ধরনের
সমস্যা দেখা দেয় বিশেষ করে ঘামাচির চুলকানি যেন অসহ্যকর তাছাড়াও এই
ঘামাচি
দৈহিক সৌন্দর্যের নষ্ট করে আজকের এই আর্টিকেলে আপনি জানতে পারবেন খুব সহজেই
ঘরোয়া উপায়ে ঘামাচি থেকে মুক্তি পাওয়ার কয়েকটি মাধ্যম তাহলে চলুন জেনে আসি
ঘামাচি দূর করতে কোন কোন মাধ্যম গুলো আমরা অবলম্বন করতে পারিkjhgjh
সূচিপত্রঃ গরমে ঘামাচি থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় গুলো জেনে নিন
নিজের যে অংশ পড়তে চান ক্লিক করুন
- বরফের এর সাহায্যে
- মুলতানি মাটি
- নিম নিম পাতার সাহায্যে
- শসার সাহায্যে
- বেসন দিয়ে
- ঘৃতকুমারীর জেল
- লেবু পানি সাহায্যে
- চন্দন বাটা
বরফের এর সাহায্যে
গরম এলে ই দুশ্চিন্তা বাড়ে অনেকের কারণ গরম এলেই বাড়ে ঘামাচির অত্যাচার আমরা
অনেকেই এই ঘামাচি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের পাউডার ব্যবহার করে
থাকি তারপরও দেখা যায় সঠিক ফলাফল পাওয়া যায় না ঘামাচির কারণে বিবৃত হন অনেকেই
ঘামাচির চুলকানি যেন অসহ্যকর তেমনি আপনার স্বাভাবিক চলাফেরার ব্যাহত হয়
তাছাড়াও আপনার দৈহিক সৌন্দর্য নষ্ট করে এক্ষেত্রে আমরা ঘামাচি দূর করতে বরফের
সাহায্য নিতে পারি বর্তমানে আমাদের সকলের বাড়িতেই ফ্রিজ রয়েছে সেখান থেকে আমরা
কিছু বরফ নিয়ে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ঘামাচি নিবারণ করতে পারব এক্ষেত্রে আপনাকে সর্ব
প্রথমে কিছু পরিমাণ বরফ নিতে হবে তারপর একটি পাতলা ও নরম পরিষ্কার কাপড় নিতে
হবে
তারপর সেই কাপড়ে বরফগুলো রেখে দিয়ে আপনার যে স্থানে ঘামাচি রয়েছে সেখানে
হালকাভাবে পাঁচ থেকে দশ মিনিট শেখ দিতে হবে যার ফলে দেখবেন খুব সহজেই আপনার
ঘামাচি গুলো মরে গেছে এবং লাল লাল ভাব ও দূর হয়ে গেছে যা আপনাকে অনেকটাই সুস্থি
দিবে এবং ঘামাচি থেকে মুক্তি দিবে
মুলতানি মাটি
গরমের অন্যতম সমস্যার মধ্যে একটি সমস্যা হচ্ছে ঘামাচির সমস্যা অতিরিক্ত গরমে
আমাদের শরীরে বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ করে ঘাড় পিঠ গলা হাত পা পেট মুখ সহ শরীরের
নানা স্থানে ছোট ছোট লাল লাল ঘামাচি দেখা দেই আর এসব ঘামাচির কারণে অসহ্যকর
চুলকানিও হয় তাছাড়াও এই ঘামাচি শরীরে থাকলে দেখতে ভীষণ খারাপ দেখা যায়
এই ঘামাচি থেকে আমরা সহজেই মুক্ত পেতে পারি ঘরোয়া পদ্ধতিতে মুলতানি মাটির
সাহায্যে মুলতানি মাটির সাথে আমরা প্রায় সকলেই পরিচিতি এ মাটি আমাদের বিভিন্ন
ধরনের উপকার করে থাকে তার মধ্যে ঘামাচি নিবারণ করতে বিশেষভাবে কাজ করে যা হয়তোবা
আমরা অনেকেই জানিনা এক্ষেত্রে আপনাকে সর্ব প্রথমে চার থেকে পাঁচ টেবিল চামচ
মুলতানি মাটি নিতে হবে এবং সেই মুলতানি মাটিতে দুই থেকে তিন টেবিল চামচ গোলাপ জল
নিতে হবে
আরো পড়ুনঃ মুলতানি মাটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন
এবারে দুটি উপকরণ একসাথে করে পাঁচ মিনিট পর্যন্ত ভালোভাবে নাড়তে থাকুন দেখবেন
একটু সুন্দর মিশ্রণ বা পেস্ট তৈরি হয়েছে এখন এই পেস্ট আপনার ঘামাচিযুক্ত স্থানে
লাগিয়ে ফেলুন তারপর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন এবং পেস্ট শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি
দিয়ে ধুয়ে ফেলুন পেস্টটি তৈরি করার সময় আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে পেস্টি
যেন ঘন হয় এই পেস্ট ব্যবহার করলে দেখবেন আপনার ঘামাচি অনেকটাই কমে যাবে
নিম পাতার সাহায্যে
নিম পাতা আমাদের বিভিন্নভাবে সাহায্য করে থাকে বিশেষ করে শরীরের যে কোন চর্মরোগ
এবং শরীরকে জীবাণুমুক্ত রাখতে তাছাড়াও অনেকেই রয়েছেন শরীরচর্চায় নিমপাতা
ব্যবহার করে থাকেন তবে আমরা অনেকেই জানিনা যে নিম পাতা আমাদের শরীরে ঘামাচি মারতে
পারে এক্ষেত্রে আপনাকে কিছু পরিষ্কার নিমপাতা সংরক্ষণ করতে হবে
পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে সিল পাঠাতে বেটে নিতে হবে এবং আপনার ঘামাচিযুক্ত স্থানে
লাগাতে হবে প্রায় 30 মিনিট অপেক্ষা করে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে ফলে
ঘামাচি দূর হয়ে যাবে আপনি চাইলে নিম পাতার রস ব্যবহার করতে পারেন এর জন্য আপনাকে
ফুটন্ত গরম পানিতে পরিমাণ মতো নিমপাতা দিতে হবে এবং প্রায় বিশ মিনিট মতো সিদ্ধ
করতে হবে
দেখবেন পানির রং কিছুটা সবুজ হয়ে গেছে এখন আপনি এই পানি ঠান্ডা করে তুলোর
সাহায্যে বা নরম কাপড়ের সাহায্যে আপনার শরীরে ১০ থেকে ১৫ মিনিট লাগাতে পারেন যা
আপনাকে ঘামাচি থেকে মুক্তি দিতে পারবে যদি আপনি এই নিম পাতার রস ব্যবহার করতে চান
তাহলে অবশ্যই আপনাকে দিনে তিন থেকে চারবার ব্যবহার করতে হবে আর যদি নিমপাতা বাটা
ব্যবহার করতে চান তাহলে সপ্তাহে দুইদিন করলেই যথেষ্ট
শসার সাহায্যে
গরম এলে ই বাড়ে ঘামাচির উৎপাত এই ঘামাচি সাধারণত চর্ম রোগের ভিতরে পড়ে এই ছোট ছোট লাল লাল ঘামাচি গুলো শরীর জ্বালাপোড়া করে এবং চুলকায় যা ভীষণ অস্থির কাজ এই সমস্যায় এড়াতে আপনি অবশ্যই শসার ব্যবহার করতে পারেন শসা শুধুমাত্র আমাদের হাইড্রেট করে না ঘামাচির জন্য বেশ উপকারী এই শসা আপনি দুই পদ্ধতি তে ব্যবহার করতে পারবেন
সর্ব প্রথমে আপনাকে একটি শশা নিয়ে পিস পিস করে কেটে নিতে হবে সেই পিস পিস করা শসা আপনার ঘামাচি যুক্ত স্থানে লাগাতে হবে লক্ষ্য রাখতে হবে শসা পিস গুলো যেন পাতলা পাতলা হয় এই পাতলা শসা পিসগুলো আমাদের ঘামাচির স্থানে লাগানোর পর প্রায় 20 থেকে 25 মিনিট অপেক্ষা করতে হবে দেখবেন শীতল ভাব পাওয়ার সাথে সাথেই চুলকানি অনেকটাই কমে গেছে আপনি চাইলে এই শসার রস ব্যবহার করতে পারেন এক্ষেত্রে আপনাকে শসা থেকে রস বের করে নিতে হবে
এই শসার রসে পরিমাণ মতো আদার রস দিতে হবে যার ফলে এর কার্যকারিতা আরো বেশি বৃদ্ধি পাবে এবারে আপনি আদা ও শসার রসের মিশ্রণটি তুলা বা নরম কাপড়ের সাহায্যে আপনার শরীরে লাগাতে থাকুন এবং কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন দেখবেন আপনার ঘামাচি অনেকটাই দূর হয়ে গেছে এবং আপনি আরাম অনুভব করবেন
বেসন দিয়ে
আমাদের সকলের বাড়িতে প্রায়ই বেসন সব সময় থাকে। এই বেসন আমরা বিভিন্ন ধরনের
খাবার তৈরিতে ব্যবহার করে থাকি তবে বেসন আমাদের ঘামাচি দূর করতে ভীষণভাবে
কার্যকরী
এক্ষেত্রে আপনাকে পরিমাণ মতো বেসন একটি পরিষ্কার পাত্রে নিতে হবে এবং পানি দিয়ে
পেস্ট তৈরি করতে হবে খেয়াল রাখতে হবে মিশ্রনটি যেন খুব বেশি ঘন না হয় আবার বেশি
পাতলাও না হয় আপনি চাইলে এই পেস্ট এর ভিতর গোলাপজল দিতে পারেন
আরো পড়ুনঃ বেসন আপনি কেন মাখবেন শরীরে
এবারে এই পেস্টি আপনার শরীরের যে স্থানে ঘামাচি রয়েছেন সেখানে লাগিয়ে নিন
লাগানোর পরে 15 থেকে 20 মিনিট অপেক্ষা করুন তারপর ঠাণ্ডা পরিষ্কার পানি দিয়ে
ধুয়ে ফেলুন দেখবেন আপনার ঘামাচি অনেকটাই আরাম হয়েছে
ঘৃতকুমারীর জেল
ঘৃতকুমারী সাধারণত আমরা আমাদের শরীরচর্চায় জন্য ব্যবহার করে থাকি তাছাড়াও
ঘৃতকুমারী চুল সুন্দর রাখতেও সাহায্য করে কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা । এই
ঘৃতকুমারী আমাদের শরীরের ঘামাচি দূর করতে বিশেষভাবে সাহায্য করে এর জন্য
সর্বপ্রথমে আপনাকে একটি ঘৃতকুমারীর পাতা নিতে হবে এবং সেখান থেকে কৃত কুমারীর জেল
বের করে নিতে হবে
একটি পরিষ্কার চিরনির বা চামচের মাধ্যমে এবারে ঘৃতকুমারীর জেল আপনার শরীরে
ঘামাচিযুক্ত স্থানে লাগিয়ে ফেলুন এবং কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন আপনার শরীরে আপনি
শীতল বা ঠান্ডা অনুভব করবেন এবারে আপনি কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ঠান্ডা পানি দিয়ে
ধুয়ে ফেলুন এই ঘৃতকুমারীর জেল ব্যবহারের ফলে আপনার ঘামাচির জ্বালাপোড়া বা
চুলকানি অনেকটাই কমে যাবে
তাছাড়াও ঘামাচির কারণে যে লাল লাল রেস দেখা যায় তা সহজেই দূর হয়ে যাবে এবং
আপনি অনেক আরাম পাবেন ঘৃতকুমারী সাহায্যে ঘামাচি দূর করতে হলে নিয়মিত কয়েকদিন
আপনার শরীরে ঘৃতকুমারী জেল ব্যবহার হবে করতে হবে তাহলে আপনি খুব ভালো ও সঠিক
ফলাফল পাবেন
লেবু পানি সাহায্যে
লেবু পানি আমাদের শরীরের বিভিন্নভাবে সাহায্য করে থাকে বিশেষ করে অতিরিক্ত গরমে
আমাদের শরীর ঠান্ডা রাখতে ও ভালো রাখতে বিশেষভাবে কাজ করে আমরা আমাদের শরীর সুস্থ
রাখতে লেবু পানি পান করে থাকি কিন্তু অনেকের ধারণা নাই যে লেবু পানি দিয়ে আপনি
আপনার ঘামাচি দূর করতে পারেন খুব সহজেই
ঘরোয়া পদ্ধতিতে আপনি চাইলে লেবু পানি পান করার পাশাপাশি আপনার শরীরে লাগাতে
পারেন যা আপনার ঘামাচি নিরাময় করতে সাহায্য করবে এক্ষেত্রে আপনি লেবুর রস এর
সাথে সামান্য কিছু পানি দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করবেন এবং তুলা বা নরম কাপড়ের
সাহায্যে আপনার শরীরের ঘামাচিযুক্ত স্থানে হালকা করে মাসাজ করবেন এবং কিছুক্ষণ
অপেক্ষা করুন
তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন আপনি চাইলে লেবু পানির সাথে ফিটকিরি যোগ
করতে পারেন যাতে করে এর কার্যকারিতা আরো বেশি বৃদ্ধি পাবে ফিটকিরি আমরা নানান
ধরনের কাজে ব্যবহার করে থাকি তবে এই ফিটকিরি ঘামাচি দূর করতে বিশেষ কার্যকরী তাই
ফিটকিরি ও লেবু পানি একসাথে মিশ করে মিশ্রণটি আপনার শরীরে লাগালে সহজেই আপনার
ঘামাচি নিরাময় হবে এবং আপনি আরাম পাবেন
চন্দন বাটা
গরমের একটা অন্যতম সমস্যা হচ্ছে ঘামাচির সমস্যা এই সমস্যা এড়াতে আমরা বিভিন্ন
ধরনের মাধ্যম ব্যবহার করে থাকি তবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে আপনি খুব সহজেই আপনার ঘামাচি
দূর করতে পারেন চন্দন শব্দটির সাথে আমরা সকলেই পরিচিতি
এই চন্দন দিয়ে আপনি আপনার ঘামাচি দূর করতে পারবেন এর জন্য আপনাকে পরিমাণ মতো
চন্দন বাটা নিতে হবে এবং এর সাথে গোলাপজল দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করতে হবে এবারে
এই মিশ্রণটি আপনার শরীরের ঘামাচিযুক্ত স্থানে হালকা ভাবে মাসাজ করুন এবং ১৫ থেকে
২০ মিনিট অপেক্ষা করুন তারপর ঠান্ডা পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন
দেখবেন
আরো পড়ুনঃ চন্দন বাটা আসলে কি তা বিস্তারিত জানুন
আপনার ঘামাচি অনেকটাই আরাম হয়েছে এই চন্দন বাটার সঠিক ও সুন্দর ফলাফল পাওয়ার
জন্য আপনাকে একটানা কয়েকদিন এই মিশ্রণটি ব্যবহার করতে হবে অবশ্য আপনি চাইলে এই
চন্দন বাটার সাথে ধনেপাতা বাটাও মিস দিতে পারেন যা আপনার খুব সহজেই ঘামাচি দূর
করবে
ঘামাচি হলে ভুলেও যে কাজগুলি করবেন না
- নখ দিয়ে চুলকানো যাবে না এটি করলে ঘামাচি আরো দ্রুত বেশি হয়ে যেতে পারে
- অতিরিক্ত খারাপ অবস্থা হলেও কোনরকম প্রসাধনী ব্যবহার করা যাবে না
- এই সময় নরম হালকা ও ধুতি কাপড় পরিধান করতে হবে এ সময় কোনরকম নাই লোনের কাপড় পড়া যাবে না এক্ষেত্রে ঘামাচি আরও বেশি হতে পারে
- চেষ্টা করবেন ঘরের ভিতরে যেন বাইরের আলো বাতাস আসতে পারে
- যতটা সম্ভব আপনার শরীরকে ঘাম থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করবেন কেননা এই ঘাম থেকেই ঘামাচির জন্ম
শেষ কথা গরমে ঘামাচি থেকে মুক্তি পাওয়ার কয়েকটি উপায় জেনে নিন
প্রিয় পাঠক বন্ধুরা এই আর্টিকেলটি পড়ে নিশ্চয়ই আপনি জানতে পেরেছেন ঘরোয়া
পদ্ধতিতে কিভাবে ঘামাচি থেকে রেহাই পাবেন
ঘামাচির যন্ত্রণা থেকে সকলেই মুক্তি পেতে চাই আশা করি আপনারা উপরের মাধ্যমগুলো
সঠিকভাবে ব্যবহার করে আপনাদের ঘামাচি খুব সহজেই দূর করতে পারবেন
এ আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার কোন মতামত জানানো থাকে তাহলে কমেন্টে জানিয়ে যাবেন
সুস্থ থাকেন ভালো থাকেন নিজের স্বাস্থ্যর খেয়াল রাখুন আল্লাহ হাফেজ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url