OrdinaryITPostAd

হাই প্রেসার এর লক্ষণ যেভাবে বুঝবেন তা জেনে নিন

এই আর্টিকেলে আজকে আমি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি সেটি হচ্ছে হাই প্রেসার হাই প্রেসার কে রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন নামেও অনেকে চিনে এটি একটি মারাত্মক রোগ আপনি সময়মতো এই রোগ ধরতে না পারেন বা চিকিৎসা না গ্রহণ করেন আপনার হার্ট অ্যাটাক বা স্টক এর মত মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে 
হাই প্রেসার এর লক্ষণ যেভাবে বুঝবেন তা জেনে নিন
যা আপনার মৃত্যুর কারণও হতে পারে তাই এই হাই প্রেসার কে নিয়ে মোটেও অবহেলা চলবেনা আমাদের সকলের হাই প্রেসার এর লক্ষণ এবং প্রতিকার সম্পর্কে জানা উচিত তো চলেন এখন জেনে নেওয়া যাক হাই পেশারের লক্ষণ ও প্রতিকার গুলো কি কি

সূচিপত্রঃ হাই প্রেসার এর লক্ষণ এবং প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নিন

নিচের যে অংশ পড়তে চান ক্লিক করুন

হাই প্রেসারের এর  লক্ষণ সমূহ

সাধারণত আমরা উচ্চ রক্তচাপ বলে থাকি বা হাই প্রেসার বলে থাকি যদি কারো শরীরের প্রেসার উপরের ১৪০ এবং নিজের 90 এর বেশি থাকে তাই আমাদের চেষ্টা করতে হবে আমাদের শরীরের প্রেসার যেন ১৪০ এবং ৯০ এর আশপাশে থাকে 
হাই প্রেসার এর লক্ষণ যেভাবে বুঝবেন তা জেনে নিন
যা আমাদের বিভিন্ন বড় বড় অসুখ থেকে দূরে রাখবে যদি আমরা সঠিক সময়ে আমাদের শরীরে থাকার রোগ নির্ণয় করতে না পারি এবং চিকিৎসা গ্রহণ করতে না পারি তাহলে আমাদের জন্য পরবর্তীতে এটি অনেক ভয়ংকর রূপ নেই তাই আমাদের সকলের কিছু কিছু রোগের লক্ষণসমূহ জানা প্রয়োজন তো চলুন এখন হাই প্রেসার এর লক্ষণসমূহ গুলো আমরা জেনে নেই

  • মাথা ঘোরা
  • ঘাড়ে ব্যথা
  • নাক দিয়ে রক্ত পড়া
  • বমি হওয়া
  • শ্বাসকষ্ট হওয়া
  • খিচুনি হওয়া বাচ্চাদের ক্ষেত্রে
  • ঘুম কম
  • কানে বিভিন্ন শব্দ সোনা
  • বুক ব্যথা হওয়া
  • মাথা ব্যথা হওয়া
আপনাদের সতর্ক থাকার জন্য আমি আর একটু জানিয়ে দিই যে অনেক ক্ষেত্রে এসব লক্ষণ নাও দেখা যেতে পারে তারপরও দেখা যায় তার হাই প্রেসার রয়েছে এক্ষেত্রে আপনাকে নিয়মিত ডাক্তারের কাছে আপনার পেশার চেক করাতে হবে আসলে হাই প্রেসার এর তেমন কোনো লক্ষণ নেই যা সবার ক্ষেত্রে অর্থাৎ যার হাই প্রেসার রয়েছে 


তার ক্ষেত্রেই এ লক্ষণ গুলো দেখা যেতে নাও পারে সে ক্ষেত্রে আমাদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে এবং মাঝেমধ্যে আমাদের প্রেশার চেক করে দেখতে হবে যে হাই প্রেসারে আক্রান্ত কিনা যদি হয়ে থাকেন তাহলে যত দ্রুত সম্ভব এর প্রতিকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন কেননা যদি আপনি হাই প্রেসারে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তবে আপনার বিভিন্ন ধরনের বড় বড় অসুখ হতে পারে যা আপনার মৃত্যুর কারণ হতে পারে

হাই পেশার কেন হয়

বর্তমানে অধিকাংশই মানুষই এই হাই প্রেসারে আক্রান্ত হাই প্রেসার বেস জটিল একটি রোগ তাই আমাদের চেষ্টা করতে হবে আমাদের পেশার যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে তাই আমাদের জানা উচিত এই হাই প্রেসার আমাদের কেন হয় তাহলে চলুন


  1. যদি আমাদের শরীরের ওজন স্বাভাবিক না হয় তাহলে আমাদের হাই প্রেসার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে খেয়াল করলে বুঝতে পারবেন সাধারণত যাদের শরীরের ওজন অতিরিক্ত বা বেশি তারা হাই প্রেসারে আক্রান্ত থাকে তাই চেষ্টা করতে হবে আমাদের শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে
  2. যারা অতিরিক্ত লবণ খায় তাদের হাই প্রেসার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাই অতিরিক্ত লবণ খাওয়া থেকে বিরতি থাকুন
  3. খাবার তালিকায় যথেষ্ট পরিমাণে শাক-সবজি ও ফলমূল না থাকা
  4. অতিরিক্ত পরিমাণে মদ পান করা
  5. অতিরিক্ত চা কফি ইত্যাদি পান করা
  6. পর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রম না করা
  7. ধূমপান করা
  8. রাতে একটানা ৬ থেকে ৮ ঘন্টার চেয়ে কম ঘুমানো
  9. বয়স 65 বছরের ঊর্ধ্বে হওয়া
  10. অনেক সময় এই হাই প্রেসার বংশগত হরমোনের কারণে হয়ে থাকে

হাই প্রেসার থাকলে কি কি সমস্যা হতে পারে

যদি কারো রক্তচাপ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয় তাহলে তার বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে এর মধ্যে কিছু কিছু সমস্যা তার মৃত্যু পর্যন্ত ঘটাতে পারে এই পেশার একটানা অনিয়ন্ত্রণ থাকলে মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হতে পারে তাহলে চলুন এখন জেনে নেওয়া যাক রোগগুলির সম্পর্কে

  • হার্ট অ্যাটাক
  • স্টক
  • হৃদরোগ 
  • কিডনির সমস্যা
  • পায়ে রক্ত চলাচল কমে যাওয়া 
  •  পচা ঘা হতে পারে
  • মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ কমে যাওয়া
  •   ধমনীর রোগ

হাই প্রেসার এর প্রতিকার

যদি আপনার হাই প্রেসার হয় তাহলে আপনি কিভাবে এর প্রতিকার নেবেন তা আমাদের সকলের জানা প্রয়োজন আমরা দুইভাবে এই প্রতিকার নিতে পারি প্রথমটি হচ্ছে আপনি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের ওষুধ বা মেডিসিন গ্রহণ করে 

আপনার পেশার নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে আপনি ঘরোয়া ভাবেই আপনার পেশার নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন বিভিন্ন ধরনের খাবার এর মাধ্যমে যদি আপনি নির্ণয় করতে পারেন যে আপনি হাই প্রেসারে আক্রান্ত তাহলে ওষুধের পাশাপাশি ঘরোয়া ভাবেও চেষ্টা করা উচিত এই পেশার নিয়ন্ত্রণে করার 

এমন কতগুলো খাবার বা কাজ রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি আপনার পেসারকে খুব সহজে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন তো চলুন আমরা এখন জেনে নিই আমরা কিভাবে ঘরোয়া ভাবে হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণে করতে পারব

খাবারের লবণের পরিমাণ কমানো

কেউ যদি এই হাই প্রেসারে আক্রান্ত থাকে তাহলে তাকে লবণের পরিমাণ একেবারে কমিয়ে দিতে হবে কেননা লবণ রয়েছে বিশেষ কিছু অ্যান্টিঅক্সাইড ও উপাদান যা আমাদের প্রেসার বাড়াতে সাহায্য করে আমরা অনেকেই বেশি লবণ যুক্ত খাবার খেতে পছন্দ করি 

তবে এটি খুবই ক্ষতিকর হাই-প্রেশার আক্রান্ত রোগীদের জন্য তাই চেষ্টা করতে হবে যে কোন খাবারেই লবণ কম খাওয়া এক কথায় লবণ যতটা কম খেতে পারা যায় আপনার খাদ্য তালিকায় আপনি যদি লবণের পরিমাণ কমাতে পারেন তাহলে আপনার পেশার নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন

স্বাস্থ্যকর খাবার তৈরি করা

স্বাস্থ্যকর খাবার বলতে যে শুধুমাত্র ডিম দুধ মাংস বা মাছ কে বুঝায় তা নয় বিভিন্ন ধরনের সবুজ শাক-সবজিতেও রয়েছে বেশ পুষ্টি এবং উপাদান যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন উপকার করে থাকে এবং এটি স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী একটি খাবার 


তাছাড়াও বিভিন্ন ধরনের কাঁচা ফলমূল আমাদের খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে যা আমাদের প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করবে অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় বেশি বেশি মাছ মাংস দুধ ইত্যাদি এই ধরনের খাবারগুলো খেলে প্রেসার হাই হওয়ার সম্ভাবনা আরো বেশি থাকে 

তাই আমাদের খাবার তালিকায় কি ধরনের খাবার রাখা হচ্ছে তা খেয়াল রাখা জরুরী প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা কাঁচা শাকসবজি এবং কাঁচা ফলমূল রাখতে হবে যা আমাদের প্রেশার নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করার পাশাপাশি আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি যোগান দিবে

শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে

শরীরের অতিরিক্ত ওজন থাকলে হাই প্রেসার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাই আমাদের খেয়াল রাখতে হবে আমাদের শরীরে অতিরিক্ত ওজন যেন না হয় শরীরের অতিরিক্ত ওজন বা চর্বি শুধুমাত্র যে আমাদের হাই প্রেসার আক্রান্ত করে এমনটা নয় 

আরো অনেক ক্ষতিকর দিক রয়েছে যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য জন্য ভীষণ অনুপযোগ কেউ যদি হাই প্রেসারে আক্রান্ত হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই তাকে তা শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে হবে বা তার শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে এক্ষেত্রে তার পেশার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব

মদ্যপান কমিয়ে ফেলা

যারা মদ পান করে বা ধূমপান করে তারা অধিকাংশই হাই প্রেসার এর আক্রান্ত থাকে তাই আপনি যদি হাই প্রেসারে আক্রান্ত হয়ে থাকেন আর চান ঘরোয়া ভাবে আপনার প্রেশার নিয়ন্ত্রণে থাকুক তাহলে অবশ্যই আপনাকে মদ্যপান বা ধূমপান করা থেকে বিরতি থাকতে হবে 


মদ বা অ্যালকোহলে এমন কতগুলি ক্ষতিকর উপাদান থাকে যা মানুষের শরীরে গিয়ে মানুষের রক্তের মিশে উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টি করে তাই আপনি যদি মদ্যপান বা ধূমপান কমাতে না পারেন তাহলে আপনার পেশার নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন না

তাই অবশ্যই চেষ্টা করুন মদ্যপান এবং ধূমপান থেকে বিরতি থাকতে যা আপনার পেশারকে নিয়ন্ত্রণ রাখবে এবং বিভিন্ন ধরনের বড় বড় অসুখ থেকে দূরে রাখতে সহায়তা করবে

নিয়মিত ব্যায়াম করা

যখন আমাদের প্রেসার  ১৪০ এবং ৯০ এর উপরে হয় তখন আমরা সেই প্রেসার কে হাই প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ বলে থাকে তাই আমাদের সব সময় চেষ্টা করতে হবে ১৪০ এবং ৯০ এর কাছাকাছি আমাদের প্রেসার রাখতে যা আমাদের সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করবে 
হাই প্রেসার এর লক্ষণ যেভাবে বুঝবেন তা জেনে নিন
পাশাপাশি যে কোন বড় বড় অসুখের হাত থেকে দূরে রাখবে আমরা যদি সঠিক পরিমাণে পরিশ্রম না করি তাহলে আমাদের পেশার বাড়ার সম্ভাবনা থাকে অনেককেই দেখা যায় খাওয়া-দাওয়া আর শুয়ে থাকা ছাড়া  তেমন কোনো ভারী কাজ নেই তাদের অধিকাংশই এই হাই প্রেসারে আক্রান্ত 

তাই আমাদের উচিত নিয়মিত পরিশ্রম করা এক্ষেত্রে আপনি ব্যায়াম করতে পারেন যা আপনার শরীর থেকে অতিরিক্ত ওজন কমাবার পাশাপাশি আপনার পেশাকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করবে

কফি থেকে দূরে থাকা

প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আপনি যদি আপনার হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তাহলে অবশ্যই কপি থেকে দূরে থাকবেন কেননা আপনার প্রেশার বাড়াতে বা উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টি করতে কপি বেশ কার্যকর কফিতে রয়েছে 


বিশেষ কিছু উপাদান যা আপনার পেশার বাড়াতে সহায়তা করে যদি আপনি আপনার হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করতে চান এবং সাথে সাথে কফি খাওয়ার আপনার অভ্যাস থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার খাদ্য তালিকা থেকে কফি বাদ দিয়ে দিন

বিচি জাতীয় খাবার খেতে পারেন

আপনার হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করতে বিটি জাতীয় খাবার বেশ কার্যকরী একটি মাধ্যম যদি আপনি হাই প্রেসারে আক্রান্ত থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার খাদ্য তালিকায় বিচি জাতীয় খাবার রাখুন যেমন সিম বা মোটরসুটি ইত্যাদি এই বিচি যুক্ত খাবার গুলো খুব সহজেই আপনার হাই পেশার নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম

শেষ কথা । হাই প্রেসার এর লক্ষণ এবং প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নিন

প্রিয় পাঠক বন্ধুরা নিশ্চয়ই আপনারা এখন এই আর্টিকেল থেকে জানতে পেরেছেন হাই প্রেসার এর লক্ষণসমূহ এবং হাই প্রেসার থাকলে কি কি সমস্যা হতে পারে এবং এর প্রতিকার কিভাবে করবেন হাই পেশার একটি জটিল রোগ যা আমাদের মৃত্যুর কারণ হতে পারে তাই আমাদের অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যেন আমাদের পেশার নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং নিয়মিত পেশার চেক করে দেখতে হবে প্রেশার নিয়ন্ত্রণে আছে কিনা


এ আর্টিকেলটি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না এরকম আরো নতুন নতুন স্বাস্থ্যবিধি আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন

এতক্ষণ এই আর্টিকেলের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন আল্লাহ হাফেজ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url