গিমা শাক আপনি যে কারণে খাবেন তা জেনে নিন আর এর উপকার কি
আসসালামু আলাইকুম এই আর্টিকেলে আপনাকে স্বাগতম আপনি কি গিমা শাকের উপকারিতা
সম্পর্কে জানার জন্য এই আর্টিকেলটিতে প্রবেশ করেছেন তাহলে আপনি সঠিক জায়গাতেই
এসেছেন আজকের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত গিমা শাকের আপডেট তথ্য ও
উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে তাই গিমা শাকের সঠিক তথ্য ও উপকারিতা
জানতে
আমাদের এই আর্টিকেলের সাথেই থাকুন গিমা সবজিটি ওষুধ নামেও পরিচিতি আমাদের শরীরের
বিভিন্ন ধরনের অসুখ-বিসুখ নিরাময় করতে বা প্রতিকার করতে এই গিমা শাকের গুরুত্ব
অনেক তো চলুন এখন জেনে নেওয়া যাক গিমা শাকের উপকারিতা সম্পর্কে।
সূচিপত্রঃ ঘিমা শাকের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন
নিজের যে অংশ পড়তে চান ক্লিক করুন
- গিমা শাকের পুষ্টিগুণ
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে
- গ্যাস বা বদহজমের সমস্যা হয় না
- দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে
- ভিটামিন সি এর দুর্দান্ত উৎস
- জন্ডিসের সারাতে সহায়তা করে
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
- গিমা শাক কিভাবে খাবেন
গিমা শাকের পুষ্টিগুণ
গিমা শাক বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিতে ভরপুর আমরা অনেকেই গিমা শাককে অবহেলা করে থাকি
কেননা এই শাক অবহেলায় ও কোন যত্ন ও চাষ ছাড়াই বেড়ে ওঠে গিমা শাক সাধারণত আলুর
রসুন ও পেঁয়াজের জমিতে আগাছা হিসাবে হয়ে থাকে
তাছাড়াও বাড়ির আশপাশে যেখানে সেখানে এই শাক বেড়ে ওঠে আপনারা যদি গিমা শাকের
পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানেন তাহলে অবশ্যই গিমাশাকে আর অবহেলা করতে পারবেন না এই
শাকে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি ও উপাদান যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের
পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে থাকে
এর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের অসুখ-বিসুখ নিরাময় সহায়তা করে তো চলুন এখন জেনে
নেওয়া যাক গিমা শাকে কি কি পুষ্টিগুণ রয়েছে এবং কত পরিমাণে রয়েছে
প্রতি ১০০ গ্রাম গিমা শাকে রয়েছে
- ২২ কিলো ক্যালরি
- ফ্যাট ০.৬২ গ্রাম
- কার্বোহাইড্রেট ১.৬ গ্রাম
- ফাইবার ৪ গ্রাম
- প্রোটিন ২.২৯ গ্রাম।
- ভিটামিন সি 7.03 মিলিগ্রাম
- ৭৯৬ মাইক্রগ্রাম
- এছাড়াও গিমাশাকে আরও রয়েছে ভিটামিন বি১ ভিটামিন বি ২ ভিটামিন ই ও ক্যালসিয়াম ফসফরাস জিংক ম্যাগনেসিয়াম সহ একাধিক উপাদান
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে
ডাইবেটিস সম্পর্কে জানেনা এমন কোন মানুষ নেই বললেই চলে এটি এমন একটি সমস্যা যা
আমাদের শরীরে নিয়ন্ত্রণ না থাকলে আমাদের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে তাই অবশ্যই
আমাদের খেয়াল রাখা উচিত বা এই ব্যাপারে সাবধান থাকা উচিত যেন আমাদের শরীরে
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে ডায়াবেটিসে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আমাদের মধ্যে
অনেকেই রয়েছে
যারা বিভিন্ন ধরনের মাধ্যম বা পদ্ধতি গ্রহণ করে থাকে যেমন এক্সারসাইজ করা
হাঁটাহাঁটি করা বিভিন্ন ধরনের খাবার থেকে দূরে থাকা বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা ও
মেডিসিন নিয়ে থাকে অবশ্য আপনি চাইলে ঘরোয়া ভাবে একটু চেষ্টা করে দেখতে পারেন
আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে আপনার বাড়ির আশপাশেই আগাছা হিসেবে বা
মূল্যহীন হিসাবে পড়ে থাকা
গিমা শাক আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে খুব সহজে আমাদের হয়তো অনেকেরই
জানা নাই এই সম্পর্কে গিমা শাকে রয়েছে বিশেষ কিছু উপাদান যা আমাদের শরীরে প্রবেশ
করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে যদি আপনি নিয়মিত আপনার খাদ্য তালিকায় এই গিমা
শাক রাখেন তাহলে আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন
গ্যাস বা বদহজমের সমস্যা হয় না
গ্যাস বা বদহজমের সমস্যা সমাধান করতে গিমা শাক একটি উপযোগী খাবার গিমা সাকে
রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ফাইবার ও আন্টি অক্সিডেন্ট যা আমাদের পেটে গিয়ে গ্যাস বা
বদহজমের সমস্যা খুব সহজে সমাধান করতে পারে আমরা বাঙালি আমরা যেকোনো খাবারের বেশি
মসলা বা ভাজাপোড়া খাবার খুব পছন্দ করে থাকি
আর এ ধরনের খাবার খাওয়ার কারণে আমাদের প্রায়ই গ্যাস বা বদ হজমের সমস্যা হয়ে
থাকে অবশ্যই আপনি আপনার খাদ্য তালিকায় গিমা শাক রাখতে পারেন যদি আমাদের মধ্যে
কারো বদহজমের সমস্যা থাকে তাহলে এটি একটি বেস্ট জটিল প্রক্রিয়া যদি আপনি বদহজম
নিয়ন্ত্রণ করতে না পারেন তাহলে আপনার পরিপাকতন্ত্র কখনোই সুস্থ ও ভালো থাকবে না
যার ফলে আপনার শরীরে বাধতে পারে বিভিন্ন ধরনের অসুখ বিষুক তাই অবশ্যই খেয়াল
রাখুন যাতে করে আপনার বদহজমের সমস্যা না হয়
এ ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনি নিয়মিত গিমা শাক খেতে পারেন যা আপনার খুব সহজেই বদ হজম
বা যে কোন গ্যাসের সমস্যার সমাধান করে দিতে পারবে তাছাড়াও আপনি যদি গিমা শাকে রস
নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে আপনার পেটের যে কোন সমস্যা সমাধান হবে এবং বিভিন্ন
ধরনের অসুখ বিসুখ আপনার থেকে দূরে থাকবে
দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে
দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে গিমা শাক ভীষণ উপযোগী একটি খাবার গিমাশাকে প্রচুর পরিমাণে
ভিটামিন সি রয়েছে যা আমাদের চোখ ভালো রাখতে সহায়তা করে বর্তমানে আমাদের মধ্যে
অনেকেরই একটু বয়স হওয়ার সাথে সাথেই চোখের দৃষ্টি শক্তিও কমতে শুরু করে যেমন
আবছা দেখা বা অন্ধকার দেখা ইত্যাদি আসলে এসব সমস্যার আসল কারণ হচ্ছে
আমাদের চোখে দৃষ্টি শক্তি ক্ষমতা কমে যাওয়া তাই খেয়াল রাখতে হবে যেন আমাদের
দৃষ্টি শক্তি নিয়ন্ত্রণে থাকে এর জন্য অবশ্যই আপনার খাদ্য তালিকায় আপনি নিয়মিত
গিমা শাক রাখুন গিমা শারটিকে আমরা অনেকে অবহেলা করে থাকি কারণ
এটি কোন যত্ন ছাড়াই অবহেলায় বেড়ে ওঠে তবে এ শাকের মধ্যে রয়েছে বিশেষ কিছু গুন
ও উপাদান যা আমাদের দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সহায়তা করে তাই এই গিমাশাকে অবহেলা না
করে নিয়মিত আপনার খাদ্য তালিকায় রাখার চেষ্টা করুন আমাদের দৃষ্টি শক্তি ঠিক
রাখতে আমরা আমাদের খাদ্য তালিকায় অনেক দামী দামী এবং বেশ ভালো খাবার রাখি তবে
আপনি এই অবহেলিত গিমা শাক রেখে দেখুন
যা আপনার দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সহায়তা করবে তাছাড়াও আপনাকে এর কোন মূল্য দিতে
হবে না অবশ্য অনেক জায়গায় শহরবাজারে একই গিমা শাক বিক্রিও করা হয়ে থাকে তাও
আবার খুব অল্প মূল্য তাই আপনি খুব অল্প মূল্যের মধ্যে পেতে পারেন আপনার দৃষ্টি
শক্তি বাড়ানোর খাবার
ভিটামিন সি এর দুর্দান্ত উৎস
গিমা শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি প্রতি ১০০ গ্রাম গিমা শাকে রয়েছে
৭.০৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি অর্থাৎ গিমা শাককে ভিটামিন সি এর ভান্ডার বললেই চলে
ভিটামিন সি আমাদের শরীরের জন্য ভীষণ জরুরি একটি উপাদান এটি আমাদের শরীরকে ভালো
রাখতে সুস্থ রাখতে এবং বিভিন্ন ধরনের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণে রাখতে
সহায়তা করে
তাই অবশ্যই আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি রাখা প্রয়োজন যাদের শরীরে
ভিটামিন সি এর ঘাটতি রয়েছে তারা নিয়মিত যদি এ গিমা শাক তাদের খাদ্য তালিকায়
রাখে তাহলে খুব তাড়াতাড়ি তাদের এই ঘাটতি পূরণ করতে পারবে গিমা শাক খেতে, বা এর
স্বাদ তিতা তবে আপনি যেকোন ভাবে গিমা শাক খেতে পারবেন
আপনি চাইলে গিমা শাকের রস করেও খেতে পারেন যা আপনার শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী এই
রস আপনার পেটের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে দিবে এর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের রোগ
থেকে আপনাকে দূরে রাখবে যদি কেউ অল্প সময়ের মধ্যেই ভিটামিন সি এর ঘাটতি পূরণ
করতে চাই তাহলে অবশ্যই নিয়মিত আপনার খাদ্য তালিকায় গিমা শাক রাখুন যা আপনার
ভিটামিন সি ঘাটটির পূরণের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের উপকার করবে এবং অনেক অসুখ-বিসুখ
থেকে দূরে রাখতে সহায়তা করবে
জন্ডিস এর সাথে সহায়তা করে
জন্ডিসের সাথে আমরা সবাই পরিচিতি এই সমস্যাটি আমাদের বেশি গরমের সময় হয়ে থাকে
যখন আমাদের শরীরে পানির ঘাটতি হয় তখন বিশেষ করে সমস্যাটি হয়ে থাকে জন্ডিস
সারাতে বা ভালো করতে গিমা শাক একটি ওষুধ হিসাবে কাজ করে থাকে
আরো পড়ুনঃ যে বড় সমস্যার হাত থেকে বাঁচায় এই গিমা শাক
গিমা শাকে রয়েছে বিশেষ কিছু উপাদান যা জন্ডিস সাড়াতে সহায়তা করে তাই কেউ যদি
জন্ডিসের আক্রান্ত হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই নিয়মিত গিমা শাকের রস খান যার ফলে খুব
সহজে আপনার জন্ডিস নিরাময় হবে এর জন্য অবশ্যই আপনাকে পরিমাণ মত গিমা শাক সংরক্ষণ
করতে হবে এবং সেই শাক ভালোমতো পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে
এবারে ডিমা শাক থেকে রস বের করে নিতে হবে যেহেতু এই রস তিতা হবে তাই এর সাথে আপনি
মধু মিশিয়ে খেতে পারেন তাছাড়াও গীমা শাকের রস না খেতে পারলে আপনি গিমা শাক অন্য
কোন মাধ্যমেও খেতে পারেন যেমন রান্না করে সিদ্ধ করে বা অন্য কোন তরকারির সাথে মিস
করে খেতে পারবেন যা খুব সহজে আপনার জন্ডিস প্রতিরোধ করতে পারবে তাই অবশ্যই আপনার
জন্ডিস নিবারণ বা ভালো করতে আপনার খাদ্য তালিকায় নিয়মিত গীমা শাক রাখুন
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়াতে গিমা শাক সহায়তা করে অনেক সময় দেখা
যায় আমরা ছোট ছোট কারণে বা অকারণে অসুস্থ হয়ে পড়ি বা নিজের শরীর খুব ক্লান্ত
অনুভব করি এর প্রধান কারণ হচ্ছে আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কম
যদি আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা না থাকে তাহলে আমরা খুব সহজেই যেকোনো
ছোটখাটো অসুখ-বিসুখে আক্রান্ত হয়ে পড়ি যা আমাদের শরীর ও স্বাস্থ্যের জন্য বেশ
ক্ষতিকর এর জন্য অবশ্যই আমাদের খেয়াল রাখতে হবে
যেন আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা পরিমাণ মতো থাকে গিমা শাক রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা বাড়ায় তাই নিয়মিত আপনার খাদ্য তালিকায় ঘিমা শাক রাখুন যা আপনার শরীরকে
ভালো ও সুস্থ রাখতে সহায়তা করবে গিমা শাক খুব অল্প মূল্যে হলেও এর উপকারিতা বা
কার্যকারিতা অনেক তাই অবশ্যই এই শাকে কে অবহেলা না করে নিয়মিত আপনার খাদ্য
তালিকায় রাখুন এবং সুস্থ ও ভালো থাকুন
আরো জেনে নিন গিমা শাক কিভাবে খাবেন
গিমা শাক তিতা তাই অনেকেই এসব না খেতে পারে এক্ষেত্রে আপনি বিভিন্নভাবে এই শাক
রান্না করে খেতে পারবেন আপনি চাইলে অন্য কোন দরকারি সাথে মিস দিয়ে রান্না করে
খেতে পারেন যার ফলে এর তিতা ভাব অনেকটাই কমে যাবে
আরো পড়ুনঃ গিমা শাক কোন সময় বেশি খাবেন তা জানান
তাছাড়াও গিমা শাকের বড়া করে বিকালে নাস্তা হিসেবে খেতে পারেন যা আপনার শরীরের
জন্য ভীষণ উপকারী আবার অনেকেই রয়েছে যারা গিমা শাকের রস খেয়ে থাকে গিমা শাকের
রস একটু বেশি তিতা লাগবে এক্ষেত্রে আপনারা পরিমাণ মতো মধু বা চিনি মিশিয়ে খেতে
পারেন
যদি আপনি গিমা শাকের রস খেতে পারেন তাহলে আপনার পেটের কোন সমস্যা থাকবে না
তাছাড়া আপনার শরীরের জন্য এই রস বেশ উপকারী
শেষ কথা গিমা শাকের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন
প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আপনারা নিশ্চয়ই এখন জানতে পেরেছেন গিমা শাকের
উপকারিতা কি আজকের পর থেকে আর গিমা শাক অবহেলা করবেন না এই শাক অবহেলিত ও অযত্নে
বেড়ে উঠলেও এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ যা আমাদের শরীরকে ভালো ও
সুস্থ রাখতে এবং বিভিন্ন ধরনের অসুখ-বিসুখ থেকে দূরে রাখতে সহায়তা করে তাই
চেষ্টা করুন নিয়মিত আপনার খাদ্য তালিকায় এই গিমা শাক রাখতে
প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আর্টিকেলটি আপনার যদি পড়ে ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই আপনার
বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এরকম আরো নতুন নতুন আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন
এতক্ষণ এই আর্টিকেলের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুস্থ থাকেন ভালো
থাকেন আল্লাহ হাফেজ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url