OrdinaryITPostAd

কৈ মাছ কেন খাবেন কি উপকার আছে তা জেনে নিন

আপনি কি কৈ মাছের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে আমাদের আর্টিকেলের সাথেই থাকুন কেননা আজকের এই আর্টিকেলে আমি কৈ মাছের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব আমাদের মধ্যে প্রায় অনেকেই কৈ মাছ ভীষণ পছন্দ করে তবে অনেকেই জানে না কই মাছের উপকারিতা বা পুষ্টিগুণ সম্পর্কে কই মাছে রয়েছে 
কৈ মাছ কেন খাবেন কি উপকার আছে তা জেনে নিন
বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি গুনাগুন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের শরীর সুস্থ ও ভালো রাখতে বিশেষভাবে সহায়তা করে তো চলুন আজকে এই আর্টিকেল থেকে জেনে নেওয়া যাক কই মাছের উপকারিতা সম্পর্কে এবং কৈ মাছের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে

সূচিপত্রঃ কৈ মাছের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন

নিচের যে অংশ পড়তে চান ক্লিক করুন

কৈ মাছের পুষ্টিগুণ

কই মাছে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ কৈ মাছে অধিক পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস রয়েছে আমাদের দেশে দুই ধরনের কৈ মাছ পাওয়া যায় প্রথমত দেশী কৈ মাছ এবং দ্বিতীয়তঃ থাই কই বা চাষ কই নামেও পরিচিত 


এই কই মাছ খেতে বেশ সুস্বাদ এবং সাধের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা কৈ মাছের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানেনা তাহলে চলুন এখন জেনে নেওয়া যাক কৈ মাছের কি কি পুষ্টিগুণ রয়েছে এবং কি পরিমাণে রয়েছে

প্রতি ১০০ গ্রাম কৈ মাছের রয়েছে

  1. শক্তি  ১৩৯ কিলো ক্যালরি
  2. প্রোটিন ১৭.৫ গ্রাম
  3. ফ্যাট  ৭.৭ গ্রাম
  4. ক্যালসিয়াম ৪১০ মিলিগ্রাম
  5. ম্যাঙ্গানিজ  53 মিলিগ্রাম
  6. ফসফরাস ৩৯০ মিলিগ্রাম
  7. পটাশিয়াম ২১৪ মিলিগ্রাম
  8. ভিটামিন এ ২১৫ মাইক্রগ্রাম
  9. ভিটামিন ডি ৮ ৫.৬০ আই ইউ

কই মাছের বৈশিষ্ট্য

  1. কই মাছ লম্বায় ২৫ সেন্টিমিটার হয়
  2. কই মাছ মাঝারি আকারের আশ দ্বারা আবৃত থাকে এবং এর আশাগুলো ভীষণ ধারালো হয়
  3. কই মাছ পানি ছাড়াও ৬ থেকে ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত জীবিত থাকতে পারে
  4. কৈ মাছের পিঠের উপরে ধারালো কাঁটাযুক্ত থাকে

দেহের ক্ষয় পূরণ করে

দেহের ক্ষয় পূরণ করতে কৈ মাছ একটি উপকারী খাবার কই মাছে রয়েছে দশটি প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড যা আমাদের দেহের ক্ষয় পূরণের পাশাপাশি মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটাতে সহায়তা করে সারাদিন ব্যস্ততার কারণে বা বিভিন্ন কারণে আমাদের শরীরের ক্ষয় হয় 
কৈ মাছ কেন খাবেন কি উপকার আছে তা জেনে নিন
আর আমরা যদি আমাদের শরীরের ক্ষয় পূরণ না করি তাহলে আমরা শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়বো তাই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে বা লক্ষ রাখতে হবে আমাদের দেহে যেন ক্ষয় পূরণ হয় দেহের এই ক্ষয় পূরণ করতে আমাদের বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার প্রয়োজন এই পুষ্টিকর কিছু খাবারের মধ্যে আপনি কই মাছ রাখতে পারেন 

এতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি এবং ভিটামিন যা আমাদের শরীরের ক্ষয় পূরণ করতে সক্ষম তাই শরীরের ক্ষয় পূরণ করতে আপনার খাদ্য তালিকায় নিয়মিত কৈ মাছ রাখুন যা আপনার দেহের ক্ষয় পূরণ করার পাশাপাশি আপনাকে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির যোগান দিবে এবং বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে দূরে রাখবে

দৃষ্টিশক্তি বাড়াই

আমাদের দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে বা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কৈ মাছ একটি উপযোগী খাবার কই মাছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ডি রয়েছে যা আমাদের চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে তাছাড়াও আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা চোখে অনেকটাই ভালো দেখতে পায় না 


যেমন আবছা দেখা বা অন্ধকার দেখা কিংবা দূরে জিনিস ভালো মত দেখতে না পাওয়া বিশেষ করে একটু বয়স হলে এ সমস্যাগুলো বেশি হয়ে থাকে তাদের ক্ষেত্রে অবশ্যই খাদ্য তালিকায় নিয়মিত কৈ মাছ রাখা উচিত কই মাছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকাই এ সকল সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম তাছাড়াও বর্তমানে ছোট বাচ্চাদেরও দেখা যায় চশমা ব্যবহার করতে 

এক্ষেত্রে যদি আপনি আপনার খাদ্য তালিকায় নিয়মিত কৈ মাছ রাখেন তাহলে আপনাদের চোখের দৃষ্টি ভালো থাকবে এবং চোখের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকেও রক্ষা করবে তাই চোখের দৃষ্টি বাড়াতে আপনার খাদ্য তালিকায় নিয়মিত কৈ মাছ রাখুন

হার শক্ত ও মজবুত রাখে

হার শক্ত ও মজবুত রাখতে কই মাছ বিশেষভাবে সহায়তা করে আমরা সকলেই জানি হার শক্ত ও মজবুত রাখতে ক্যালসিয়াম কতটা প্রয়োজনীয় যদি আমাদের শরীরে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ কম থাকে

তাহলে আমাদের হার শক্ত ও মজবুত থাকবে না কেননা এই ক্যালসিয়াম আমাদের হারকে শক্ত রাখতে সহায়তা করে আর এই ক্যালসিয়াম আমরা খুব সহজে কৈ মাছ থেকে পেতে পারি প্রতি ১০০ গ্রাম কৈ মাছের রয়েছে ৪১০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম 

যদি আমাদের খাদ্য তালিকায় নিয়মিত কৈ মাছ রাখা হয় তাহলে আমরা প্রতিদিন প্রায় 410 মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম আমাদের শরীরকে দিতে পারব যা আমাদের হার শক্ত ও মজবুত রাখতে সহায়তা করবে আমাদের শরীরের হাড় শক্ত ও মজবুত রাখার পাশাপাশি দাঁতের জন্য বেশ উপকারী এই কৈ মাছ

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়

হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে কই মাছ একটি উপযোগী খাবার কই মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ডি এইচ এ যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে বিশেষভাবে সহায়তা করে তাই আমাদের হৃদরোগের প্রতিকার হিসাবে কৈ মাছ খাওয়া উচিত


তাছাড়াও যারা হৃদরোগের আক্রান্ত তারা যদি নিয়মিত তাদের খাদ্য তালিকায় কৈ মাছ রাখে তাহলে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কেননা কৈ মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমানে DHA হৃদরোগের ঝুঁকি কমার পাশাপাশি এটি হার্ট ভালো রাখতে ও সুস্থ রাখতে বেশ সহায়তা করে থাকে 

তাই আমাদের খাদ্য তালিকায় কয় মাছ রাখা উচিত যা আমাদের বিভিন্ন পুষ্টি ও ভিটামিন দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে দূরে রাখতে সহায়তা করে

শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটায়

শিশুদের জন্য এই কই মাছ একটি গুরুত্বপূর্ণ খাবার যা শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটাতে সহায়তা করে থাকে শিশু অবস্থায় বা বাড়ান্তি বয়সে সব থেকে ভালো ও সুষমযুক্ত খাবার খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত
কৈ মাছ কেন খাবেন কি উপকার আছে তা জেনে নিন
কেননা এ সময়ে শিশুদের শরীরের বিকাশে সাথে সাথে মস্তিষ্কের বিকাশও ঘটে থাকে তাই যদি আপনার শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ সঠিক মতো ঘটাতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার খাদ্য তালিকায় নিয়মিত কৈ মাছ রাখুন কই মাছে রয়েছে প্রয়োজনীয় দশটি অ্যামিনো অ্যাসিড যা শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটাতে সহায়তা করে 

শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটানোর পাশাপাশি শিশুদের হার ও দাঁত ভালো রাখতেও সহযোগিতা করে এই কৈ মাছ তাই শিশুদের খাদ্য তালিকায় পুষ্টিকর খাবার হিসেবে কৈ মাছ রাখার চেষ্টা করুন

ত্বকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

আমাদের ত্বকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় বিশেষ করে গরমের সময় আরো বেশি ত্বকের সমস্যা দেখা দেয় এক্ষেত্রে আপনি আপনার খাদ্য তালিকায় কৈ মাছ রাখতে পারেন কই মাছে এমন কতগুলো অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ফাইবার রয়েছে যা আমাদের ত্বকের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে


কই মাছে পাওয়া যায় গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাটি অ্যাসিড যা ত্বক ভালো রাখতে সহায়তা করে দেহের বিপাক ক্রিয়া স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে এই কৈ মাছ আমাদের মধ্যে অনেকে রয়েছে যাদের ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য কৈ মাছ একটি বেশ উপকারী এবং উপযোগী খাবার 

তাই অবশ্যই চেষ্টা করুন আপনার খাদ্য তালিকায় নিয়মিত কৈ মাছ রাখা যা আপনার ত্বকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করবে পাশাপাশি আপনাকে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি ও ভিটামিন যোগান দিবে

শেষ কথা, কই মাছের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন

প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আমাদের দেশে দুই ধরনের কৈ মাছ পাওয়া যায় একটি হচ্ছে দেশি এবং অপরটি হচ্ছে চাষ করা কৈ মাছ বা থাই কৈ মাছ নামেও পরিচিতি একই মাঝে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি ও গুনাগুন কই মাছ শিশুদের জন্য ভীষণ উপযোগী এবং উপকারী একটি খাবার তাই শিশুদের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই কৈ মাছ রাখার চেষ্টা করুন

উপরের আলোচনা থেকে নিশ্চয়ই আপনাদের খুব সহজ হবে কৈ মাছের উপকারিতা সম্পর্কে জানার জন্য ইতিমধ্যে আপনি যদি কই মাছের উপকারিতা সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে ফেলুন

আর্টিকেলটি পড়ে আপনার যদি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না এরকম আরো নতুন নতুন আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন

এতক্ষণ আমাদের এই আর্টিকেলের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন আল্লাহ হাফেজ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url